গৌরনদী প্রতিনিধি ॥ একটা সময়ে মধ্যবিত্ত কিংবা ধনী-গরিব সকলের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে ছিলো দেশীয় সুস্বাদু ফল তরমুজ। গ্রীষ্মের তাপদাহ থেকে নিজেদের স্তস্তি দিতে গ্রামীণ হাট-বাজার ও বৈশাখি মেলা থেকে বাড়ি ফেরার পথে স্বজনদের জন্য নিয়ে যাওয়া হতো তরমুজ। কিন্তু বিগত দুই বছরের ব্যবধানে তরমুজের বাজারে আর সেই আগের চিত্র নেই। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পূর্বে একেকটা তরমুজ পিচ হিসেবে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে কেজি দরে। বরিশাল নগরীসহ বিভিন্ন উপজেলার হাট-বাজার ও ফলের দোকানগুলোতে ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ। এতে করে ছোট সাইজের একেকটা তরমুজের মূল্যে গিয়ে দাড়াচ্ছে দেড় থেকে দুইশ’ টাকায়। প্রথম দিকে দাম কিছুটা কম থাকলেও রমজান শুরু হওয়ার থেকে তরমুজের লাগামহীন মূল্যে থাকায় গরিব ও মধ্যবিত্তদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে গরমের স্বস্তিদায়ক রসালো ফল তরমুজ। ফলে তরমুজ এখন আর গরিবের ফল নয়। এনিয়ে একাধিক ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপকালে তারা জানিয়েছেন, মোকামে তরমুজের দাম বেশি হওয়ার কারনে প্রভাব পরছে খুচরা বাজারে। মোকাম থেকে কেজি দরে তরমুজ ক্রয় করা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে কেউ সদুত্তর দিতে পারেননি। অপরদিকে তরমুজের দাম আকাশচুম্বি হওয়ায় সোচ্চার হয়ে উঠছেন ক্রেতারা। ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তরমুজের দাম নিয়ে ব্যবসায়ীদের নানান সমালোচনা করছেন তরমুজ ক্রেতারা। এমনকি ব্যবসায়ীদের শিক্ষা দিতে তরমুজ না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন কেউ কেউ। তবে তরমুজের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি আমলে নিয়ে মাঠে নেমেছেন জেলা প্রশাসন। বরিশাল জেলার চৌকস জেলা প্রশাসক মোঃ জসীম উদ্দিন হায়দার জানান, তরমুজের বাজার স্বাভাবিক রাখতে ভ্রাম্যমান আদালত মাঠে রয়েছে। ইতোমধ্যে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৪জন ব্যবসায়ীকে দশ হাজার তিনশ’ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
Leave a Reply